প্রধান মেনু

নবাবগঞ্জে রফিকুলের কৃষি খামারের সাফল্য দেখে বেকার যুবকেরা খামারের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।

মোঃ ইয়ামিন সরকার, নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুরঃ  দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পতিত থাকা জমিতে কৃষি খামার গড়ে তুলে সাফল্য অর্জন করেছেন খামারী রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার এ সফলতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে এলাকার বেকার যুবকেরা।

১৯৮৮ সালে মাষ্টার্স পাস করে কিছুদিন এনজিওতে চাকুরী করেন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারনে চাকুরী ছেড়ে দেন। পরে স্থানীয় একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন কৃষি খামারী রফিকুল ইসলাম। কিন্তু সে কলেজে এম,পিও না হওয়ায় জীবিকার তাগিদে ২০০৬ সালে মাত্র আড়াই বিঘা জমির আম বাগান লীজ নিয়ে তার কৃষি খামারের যাত্রা শুরু করেন। এতে লাভবান হওয়ায় নিজের জমি না থাকায় নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অন্যের পতিত জমি দীর্ঘমেয়াদী লীজ নিয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শে বানিজ্যিক ভাবে আমের চারাগাছ লাগিয়ে আম চাষ শুরু করেন।

বর্তমানে প্রায় ২শ বিঘা জমিতে তিনি আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। আমের বাগানের ভিতরে সাথী ফসল হিসেবে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের সব্জি, নিপিয়ার ঘাস, ধান আবাদ ও ভেড়াপালন করে বাড়তি আয় করছেন। তার কৃষি খামারে এখন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মৌসুমে তার বাগানের আম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হয়।

তার কৃষি খামার থেকে গত বছর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তিনি আয় করেছেন। চলতি মৌসুমে আম বাগান থেকে তিনি ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা আয় করবেন আশা করছেন রফিকুল ইসলাম। তার সফলতা দেখে এখন অনেকেই তার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। ইতিমধ্যে তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক কৃষি খামার গড়ে তুলে সাবলম্বী হয়েছে। ফলে রফিকুল ইসলাম এখন হয়ে উঠেছে এলাকার বেকার যুবকদের অনুকরনীয়।

রফিকুল ইসলাম জানান- চাকুরীর পিছনে না ছুটে দৃঢ়মনবল নিয়ে কৃষি খামার গড়ে তুলে বেকারত্ব দুরিকরন করা সম্ভব।

স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কবীর চানান যে জমিতে আগে কোন ফসল হতনা সেসব জমি লীজ নিয়ে আমের বাগান গড়ে তুলে এলাকার বেকার সমস্যার দূরী করনে ভুমিকা রেখেছে সফল খামারী রফিকুল ইসলাম।