দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে বললেন-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। সরকারি কর্মরতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মেধা প্রয়োগ করে উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায় সে চিন্তাভাবনা নিয়েও যেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন সেটাই আমরা চাই।তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারীরা যথেষ্ট মেধাবী। মেধা আছে বলেই তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাচ্ছেন। আমরা চাই দেশের উন্নয়নে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাবেন।’
সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক-২০১৮ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ৩৯ জন সরকারি কর্মচারী ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তিনি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সরকারি চাকরিতে কর্মরত সবাইকে সরকারের কর্মচারী হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান এক্ষেত্রে কোনো বিভাজন উল্লেখ করেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারীরা, কর্মচারী এ কারণে বলছি, সংবিধানে কিন্তু সরকারি কর্মচারী কথাটা উল্লেখ আছে অর্থাৎ, গভর্নমেন্ট সার্ভেন্ট। আপনাদের অবশ্য এটা ভাগ করে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা এখন সংবিধানে যা আছে তাই বলি।’সরকারি কর্মচারীদের বেতনবৃদ্ধিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারীরা যেন ভালোভাবে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বেতন একবারে বৃদ্ধি করেছে বলে আমরা জানি না, কিন্তু সেটা আমরা করে দিয়েছি।আর যারা গাড়ি পান না তাদের জন্য ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা করেছি।এখন নিজেরা বাড়ি তৈরি করতে ব্যাংক থেকে যাতে ঋণ নিতে পারে সেজন্য আমরা সুযোগ সৃষ্টি করেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি যখনই সরকারে এসেছি তখনই প্রশাসনের ব্যক্তিদের বলেছি, আমাদের (সরকারি) এত জায়গা পড়ে আছে। আপনারা সেখানে মাল্টিস্টোরেজ বিল্ডিং করেন, ফ্ল্যাট করেন, অফিসাররা যে থাকবেন তাদের জন্য বাড়িঘর তৈরি করে নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, কিন্তু খুব বেশি উদ্যোগ কারও কাছ থেকে আমি পাইনি। একপর্যায়ে এটাও বলতে বাধ্য হলাম, ‘আপন বুঝ পাগলও বুঝে’ কিন্তু তা বুঝে না আমাদের সরকারি কর্মচারীরা।তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমবার সরকারে এস ৩ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বোধহয় ওগুলো নিজেদের মনে করে… যা আমাদের পরিকল্পনায় ছিল কীভাবে কাকে কাকে দেব সেভাবে কিন্তু হয়নি। সেটি এদিক-ওদিক হয়ে গেছে। আমাদের কিছু করার নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় এসে আবারও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। এখন আমরা কিছু কিছু তৈরি করেছি, আপনারাও (সরকারি কর্মচারীরা) এখন সচল হচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এটা শুধু রাজধানীতে নয়, বিভিন্ন বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মাল্টিস্টোরেজ বিল্ডিং করে ফ্ল্যাট করে দিতে চাই। যে যখন সেখানে কাজে যাবেন যাতে ভালোভাবে বসবাস করতে পারেন, নিরাপদে বসবাস করতে পারেন সে ব্যবস্থাটা আমি করতে চাই।