দু পক্ষের দুই নেতাকে গ্রাম ছাড়া করা হবে কুষ্টিয়ার ইবির ঝাউদিয়া ইউনিয়নে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে-পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত
এম এ শাহিন কুষ্টিয়া : কু্ষ্টিয়া জেলা ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নে সামাজিক দ্বন্দ, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার হোসাইন গ্রুপ ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কেরাম আলী দুজনের এলাকায় দির্ঘদিন যে কোন দ্বন্দ ফ্যাসাদ করত। এতে করে আওয়ামীলীগের ভাব মুর্তি নষ্ট হওয়ায় সকল সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও কু্ষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ এর নির্দেশে ইউনিয়নে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামাজিক দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ, মারামারি নিরসনের উদ্দ্যোগের অংশ হিসেবে ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে দেশিও অস্ত্র, ঢাল, ফালা, জমা প্রদানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন কু্ষ্টিয়ার নবাগত পুলিশ সুপার পিপিএম এস এম তানভির আরাফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রতন শেখ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কেরামত আলী। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসাইন, পরিচালনা করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ঠান্টু।
সংবাদ সংগ্রহে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এম এ শাহিন হোসেন, রেজা আহাম্মেদ জয়, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে দেশিও অস্ত্র ঢাল, ফালা প্রথমে জমা দেন সুজা মেম্বর ও মেহেদী হাসান, পরে এসপির নির্দেশে এলাকার অনেকে পর্যায় ক্রমে জমা দেয় এবং বখতিয়ার ও কেরামত হাতে হাত রেখে শপথ করে এলাকায় আর কোন দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ করবে না। প্রধান অতিথি সকলের উপস্থিতিতে বলেন, এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন সকলেই আওয়ামীলীগ সংগঠনের, আওয়ামীলীগ কাউকে মারামারী করতে বলে না, যারা আওয়ামীলীগ দলের সাথে জড়িত তাদের মনে রাখতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মহান নেতা, তিনি সততার সাথে কাজ করতেন, তার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে, যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীনাতা পেতাম না, আজ তার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যানে দিন রাত পরিশ্রম করছেন শুধু দেশে সাধারন মানুষের শান্তির জন্য, তারই ধারাবাহিকতায় দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন দেশি বিদেশী চক্রান্তে ২০০১ সালে বঙ্গকণ্যা ক্ষমতায় আসতে পারেন নি, আবার ২০০৮ সালে এ যাবৎ সব থেকে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য ২০০৮ সালে সেই বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসেন।
তারপর থেকে আমাদের দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে, অনেক বড় বড় রোড ঘাট, পদ্মা ব্রিজ, মেট্ররেল হচ্ছে এগুলোর নাম গ্রামের অনেকে শোনে নাই, অনেকে ভাবেন আকাশে স্যাটালাইট পাঠিয়েছেন এতে আমাদের কি লাভ হবে, কি উপকার হবে, এই স্যাটালাইটের মাধ্যমে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবে। বঙ্গবন্ধু কণ্যা আমাদেরকে টার্গেট দিয়েছেন ২০২১ সালে মধ্যো মায়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে তারপরে এই নির্বাচনে তিনি যে টার্গেট দিয়েছেন সেটা হলো ২১০০ সালে, ২১০০ সালে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো বা আর বেচে থাকবেন না, কিন্তু দেশের মানুষের জন্য, আপনাদের ভালোর জন্য, ২১০০ সালে তিনি দেশকে কি পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান সেই টার্গেট তিনি দিচ্ছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য কি কি কাজ করা দরকার সে গুলো করছেন।
এমন নেত্রীর একজন গুরুত্ব পুর্ন হাত এমপি মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দেশের তিন নং পর্যায়ে রয়েছেন তার মতো ব্যক্তিকে আপনারা কুষ্টিয়ায় এমপি হিসেবে পেয়েছেন এটা কুষ্টিয়াবাসীর ভাগ্য বলা যায়। কু্ষ্টিয়ার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, শুধু আপনাদের ভালোর জন্য, তার যত লোকজন আছে তারাও পরিশ্রম করছেন। তিনি আরো বলেন এক সময় ২০০৬-০৭-০৮ সালে কুষ্টিয়ায় RAB এ ছিলাম, এলাকায় বহু বন্ধুক যুদ্ধ হয়েছে এই অঞ্চলে, অনেক সন্ত্রাসী আন্ডারগ্রাউন্ডের লোক মারা গিয়েছে, আমি অবাক হয়ে গিয়েছি এই সময় এসে সরকার দেশের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করছেন, আর আপনারা আপনাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে নিজেরা ঢাল সর্কি নিয়ে মারামারী করছেন।
৩৮বছর ধরে এই এলাকায় মারামারি চলছে, এলাকায় প্রায় ৭০-৮০ জন মারা গেছে মারামারি করে, এসব করে কোন লাভবান হয় না। মারারামি করার উদ্দেশ্য কি, মারামারি করার পেছনে উদ্দেশ্য থাকে ক্ষমতা দখল, এলাকায় মারামারি করে কেউ কি মন্ত্রী মিনিস্টার হতে পারছে, পারেন নাই। উল্লেখ্য পরবর্তিতে এলাকায় মারামারি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, দু পক্ষের দুই নেতাকে প্রয়োজনে গ্রাম ছাড়া করতে বাধ্য হবো।