দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আজ ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সভাশেষে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আগাম সতর্কতা হিসেবে সরকার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে ৩ মে সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং সর্বমোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪১৭ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর সম্ভব হয়। তিনি জানান ৬ মে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ১৪ হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ৪১ হাজার প্যকেট শুকনা খাবার, ৪ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকার গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি প্রদান করা হয়। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলায় ১ জন, নোয়াখালীতে ১ জন, লক্ষীপুরে ১ জন এবং বরগুনায় ২ জন মোট ৫ জন নিহত হয় এবং ৬৩ জন আহত হয়।
পটুয়াখালীতে ১৬৫টি গবাদি পশু নিখোঁজ যার অনেকগুলোর পরে খোঁজ পাওয়া যায়। ২ হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় ফণীতে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর এবং মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮০৪ হেক্টর। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ ২ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার এবং প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৩৬টি।