দুই বছরে শুকিয়ে যাবে একুশ শহর
ভারত তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পানি সংকেটর মুখে পড়তে যাচ্ছে। প্রায় ৬০ কোটি মানুষ তীব্র পানি সংকটে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ভারত সরকারের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ভারতের ২৪টি রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংকট সামনের দিনগুলোতে বরং আরও তীব্র হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভারতের ২১টি নগরীতে আগামী দু’বছরের মধ্যেই ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাবে বলে এতে হুশিয়ার করে দেয়া হয়। এই পানি সংকটের কারণে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ ভারতের ৮০ শতাংশ পানিই ব্যবহৃত হয় কৃষিতে। ভারতের শহরগুলোতে গ্রীষ্মকালে প্রতি বছরই পানির সংকট তৈরি হয়।
কারণ বেশিরভাগ নগরী এবং শহরেই বাড়ি বাড়ি পাইপে পানি সরবরাহ করার মতো অবকাঠামো নেই। পল্লী অঞ্চলেও পরিষ্কার পানির সংকট আছে। সেখানে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করা যায় না। কারণ অনাবৃষ্টির সময় লোকে এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে।নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ ভারতীয় মারা যায় পানীয় জলের সংকটের কারণে।
ভারতের নগরী এবং শহরগুলো যেভাবে দ্রুত বাড়ছে, তাতে নগরাঞ্চলে পানির চাহিদা আরও বাড়বে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ পানির চাহিদা হবে তখনকার সরবরাহ ক্ষমতার দ্বিগুণ। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু ভারতীয় রাজ্য অন্য রাজ্যের তুলনায় ভালো করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।যেমন গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু কিছু রাজ্যের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেমন উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার এবং ঝাড়খন্ড। ভারতের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এসব রাজ্যেই থাকে। ভারতের কৃষি উৎপাদনের বেশির ভাগটাই আসে এসব রাজ্য থেকে।