দুই বছরেও শুরু হয়নি ঝিনাইদহে সেবায়েত হত্যার বিচার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শ্যামানন্দ দাস গোসাই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার শুরু হয়নি। শ্যামানন্দ ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের মদন গোপাল মঠ ও মন্দিরের সেবায়েত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সকালে জঙ্গিদের হাতে নিহত হন তিনি। তার হত্যার বিচার শুরু না হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঘটনার দিন মঠের সামনে বাগান থেকে পুঁজার ফুল তুলছিলেন সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস বাবাজী। এ সময় মোটরসাইকেলে চড়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। সে সময় ঘটনা নিয়ে এলাকায় সংখ্যালঘুদের মাঝে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়। ওই দিনই রাতে মঠ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুবোল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। তবে এজাহারে কোন আসামির নাম উল্লেখ ছিল না।
এরপর পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারি অফিসার সদর থানার এসআই মোঃ আলাউদ্দিন ৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৩ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিরা হচ্ছে, শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি চরপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম ( ২২), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে আলি আজম ( ২৮ ) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রামনগরপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসাইন ( ২৬ )। এদের মধ্যে আলি আজম ও আনোয়ার হোসাইন পলাতক রয়েছে। শাহীন আলম গ্রেফতারের পর জেলে আটক আছে। তবে এখনো মামলার বিচার শুরু হয়নি।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজা কুলসুম জানান, পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার হয়েছে। দ্রুত মামলার বিচার শুরু হবে।মঠ মন্দির কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, সেবায়েত হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পার হয়ে গেলেও সংখ্যালঘুদের মাঝে ভয় কাটেনি। কেউ মঠের সেবায়েত হতে রাজি হচ্ছে না। তিনি এ হত্যা মামলার দ্রুত বিচার শেষ করে দোষিদের শাস্তি দাবি করেন।
« নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে দুবাই প্রবাসীর মৃত্যু।। (পূর্বের খবর)
(পরের খবর) দেব দত্তের হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে: ইনু »