প্রধান মেনু

দীনের পথে (৩) কলগেট কেড়ে নিল একটি তরতাজা প্রাণ

গত২৭/০৫/২০১৭ইং তারিখে এই বিল্লাল তার নিজ মটর সাইকেলনিয়ে কোনাবাড়ি বাস স্টান্ড যায় সময় ৬ টা৩০ মিনিট তারপর ১নং- জিকু, ২নং-দেলওয়ার ,কে মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে তিনজনে গাবতলি বড়বাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যায় যাওয়ার কমিউনিটি সেন্টারের ওয়ালের পাশে তার মটরসাইকেলটি তালা দিয়ে রাখে এবং কমিউনিটির সামনে একটি ডিমের দোকান ওচায়ের দোকান দারকে বলে মটরসাইকেলটি দেখবেন বলে তারা তিনজনবাজারের ভিতর দিয়ে নৌকা ঘাটে যায় ঘাটে যেয়ে জিকু বিল্লাল ও দেলয়ার একটি নৌকা ভাড়াকরে এবং তিনজন নৌকায় উঠে আমিন বাজার শিপপুর নামক স্থানে নদীর তেমাথায় পৌছালে অপর দিকথেকে আসা দিনের পথে ৩ কার্গটি এসে তাদের নৌকাটিকে ধাক্কা মেরে তলিয়ে দেয় তখন বিল্লাল জিকু ও দেলওয়ার মাঝি সহ বাঁচাও বাঁচও বলে চিৎকার করে চিৎকার শুনে পাশের নৌকায় একটি ছুটে এসে জিকু ও মাঝিকে বাঁচায় পরে তাঁরা দেখতে পায় আরাক জান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে এমতবস্তায় তাকে ও টেনে হিসড়ে নৌকায় উঠায় মাঝি চিৎকার দিয়ে বলে আরেক জন ব্যক্তি আছে তার নাম বিল্লাল অনেক লোক জড় হয়ে খোঁজ খুজি করলেও বিল্লালের সন্ধান পাওয়া যায় নাই। পরে দেলওয়ারের হাতে থাকা মোবাইলটি পানিতে পড়ে যায় এই ভয়ে দেলওয়ার ও জিকু হতভম্ভ হয়ে যায় তারা কি করবে না করবে দিশেহার হয়ে যায় তারা এই ঘটনাটি থানায় না জানিয়ে বিল্লালের বাবা মার কাছে না বলে বাসায় চলে যায় এবং বাসায় যেয়ে দেলওয়ার ও জিকু তাদের মা বাবার সাথেও শেয়ার করে নাই পরে বিল্লালের মা, বাবা ভাই বোন পাড়া প্রতিবেশি খোঁজা খুজি করতে করতে এক পর্যায় রাত্র ২টার দিকে জিকুর বাসায় যায় যেয়ে জিকুকে ডাক দিলে সে উল্টা পাল্টা জাওয়াব দেয়। তখন তারা জিকুকে নিয়ে দেলওয়ারের বাসায় যায় যেয়ে দেলওয়ার কে ডাক দিলে সে নিচে নেমে আসে তার ভাইবোন বিল্লালের কথা জিজ্ঞাসা করলে দেলওয়ার সত্য কথা বলে আমরা তিনজন নৌক যোগে শিপ পুর নদীর তিন মাথায় পৌছাইলে বড় একটি কার্গ এসে আমাদের নৌকায় ধাক্কা মারে ঐ সময় একটি নৌকায় কয়েক জন লোক এসে আমাদের কে প্রাণে বাঁচায় কিন্তু বিল্লালকে বাঁচানো সম্ভব হয়নাই সে হয়তো কার্গোর নিচে পড়ে যায় এ জন্য তাকে পাওয়া যায় নাই এই ভয়ে আমরা কারো সাতে শেয়ার করতে সাহস পাই নাই তিন জন আসলাম এক সাথে এক জনকে হারিয়ে কিভাবে তার মা বাবার কাছে বলিব এ ভাষা আমাদের জানা ছিল না পরে বিল্লালকে ২৯/০৫/২০১৭ ইং তারিখে কেরানী গঞ্জ একটি ব্রীজের পাশে কচোড়ীপানার ভীতরে ভেসে থাকতে দেখে তারই বোনের মোবাইল নং টি বিভিন্ন স্থনে দেওয়া হয় যদি কেহ মৃত দেহ দেখতে পান তাহলে ঐ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন মৃত দেহটি দেখার পর তাদের নম্বরে ফোনে জানালে তারা দ্রুত গন্তব্যে পৌছায় তারা চিনতে পারে তাদেরই ভাই বিল্লাল পরে পুলিশে খবর দিলে পুুলিশ ও তার ভাইবোন সহ মরদেহটি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।এবং ৩০/০৫/২০১৭ইং তারিখে বিল্লালের মরদেহ পোষ্টমাটাম এর পর মরদেহটি নিয়ে তার নিজ দক্ষিণ বিশিল নিজ বাসায় নিয়ে যায় সে খান থেকে শাহ আলী মাজারে জানাজা সম্পন্ন করিয়া শহীদমিনার কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এলাকা বাসী ও মা বাবার দাবি নদী পথে রাত্রে নৌকা জাহাজ ও কার্গো চলা চল করে তাদের সামনে ও পিছনে বড় সিগন্যাল লাইট না থাকার কারনে বিল্ললের যেমন প্রাণ কেড়েনিল এমনি ভাবে আর অন্য কোন মায়ের বুক খালি না হয় এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন নদীতে চলা চল কৃত জাহাজ নৌকা কার্গোর সামনে ও পিছনে লাইটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

সিগন্যাল লাইট ব্যতিত রাত্রে চলাচল বন্ধের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তার মা ও বাবা।

সিনিয়র রিপোর্টার
মফিজুর রহমান