প্রধান মেনু

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত– ৪ এপ্রিল শুনানী

উসমান গনি তুহীন, ভালুকা, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন গত ২৫শে মার্চ আঃ মতিন ঋন খেলাপি বলে হাই কোর্টে যে রিট (মামলা )করেছিল তার প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মতিনের প্রার্থিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। হাই কোর্ট বন্ধ থাকায় চেম্বার জজ আদালতে আঃমতিন সরকার রিটের জবাব দিয়ে আপিল করেছেন। সে সময় বাদী পক্ষের কোন আইনজীবী ও চিফ জাসষ্টিস না থাকায় চেম্বার জজ আগামী ৪ এপ্রিল হাই কোর্টের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে এর শুনানি করবে বলে জানিয়েছে।এবং বিকাল ৫টার সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিতের একটি ফেক্স প্ররন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে।

আগামী ৪ঠা এপ্রিল আদালতের রায়ের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করবে বলে জানা যায়। রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খালেদ সাইফুল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন রিট করার পর গত ২৭ তারিখ হাই কোর্ট একটি ওয়ার্ডার বা সমন জারি করে।আঃমতিন সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত করার সাথে সাথে সকল প্রার্থির নির্বাচনও স্থগিত করে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খালেদ সাইফুল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

আমিন উদ্দিন মানিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, “ঋণ খেলাপির দায়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মতিনের প্রার্থিতা স্থগিত করেছেন আদালত। আগামী রোববার এ উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।” মো. আবদুল মতিনের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ময়মনসিংহ শাখা (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) থেকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার এন্টারপ্রাইজের নামে ২০১৬ সালের ৭ অগাস্ট দুই কোটি টাকা ঋণ নেন। এ ঋণের জামিনদার হন বাবা মো. আবদুল মতিন। গত বছরের ৭ অগাস্টের মধ্যে ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকলেও তা পরিশোধ করা হয়নি, যা সুদ-আসলে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার ২৯৭ টাকা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, “উপজেলা নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, ঋণ গ্রহণকারী ও ঋণের জামিনদার দুজনেই ঋণ খেলাপির জন্য সমান দায়ী। কিন্তু রিটকারী তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মতিন এ তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।” এ অভিযোগে মো. আবদুল মতিনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ১২ মার্চ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।

সেখানে সাড়া না পেয়ে গত ২০ মার্চ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও আবেদন করেন। এদিন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি উত্থাপিত হয়নি বলে তার মনোনয়নপত্রটি গ্রহণ করা হয়। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরদিনই হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ইকবাল হোসেন। তারই প্রাথমিক শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালত মতিনের প্রার্থিতা স্থগিত করল।এ দিকে মতিন সরকারের সমর্থকরা বলছেন এটা মিথ্যা মামলা। পৌর মেয়র এ বি এম আনিসুজ্জামান বলেন তারা আদালতে প্রমান সহ কাগজ পত্র দাখিল করেছে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে ।সবাইকে একসাথে আনারস প্রতিকের জন্য কাজ করে যেতে বলেন।