প্রধান মেনু

তেঁতুলিয়ার টুপিপল্লিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শ্রমিকরা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাথাফাটা গ্রামের টুপিপল্লিতে রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শ্রমিকরা।দেশে এবং দেশের বাইরে তেঁতুলিয়ার টুপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিনরাত কারখানাগুলোতে চলছে টুপি তৈরির কাজ।তেঁতুলিয়ার টুপির গুনগত মান ভালো হলেও চীন বিশ্ববাজারে সল্পমূল্যে টুপি বিক্রী করায় তেঁতুলিয়ার টুপির বাজার প্রায় ধংসের পথে। সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় এ ব্যবসায় চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পরেছে বলে জানিয়েছে টুপি ব্যবসায়ীরা।

তেঁতুলিয়ার টুপি সৌদি আরব, মিশর, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া, তাজিকিস্তান, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশেও রফতানি হচ্ছিল। এখন তুরস্ক ও চীন এবাজার দখল করে নেয়ায়, উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে টুপি বিক্রয় করতে হচ্ছে।১৯৯১ সালে তেঁতুলিয়ার মাথাফাটা গ্রামে প্রথম টুপি তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে। ১৯৯৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে কারখানাগুলো দেশের পাশাপাশি বিদেশে টুপি রফতানি শুরু করে। টুপি কারখানা গুলোতে শত শত নারী পুরুষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০০-১২০০ টুপি তৈরি করছে। টুপি কারখানায় কাজ করে অনেক শ্রমিক এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।

তেঁতুলিয়ার টুপি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব টুপি কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। তাই যোড় দাবি উঠেছে, এ শিল্পে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার। তানা হলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে।