তুরস্কে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন সংকটে

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ইরান, লেবানন, জর্ডানে বৈধভাবে কর্মরত বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ইউরোপে অনুপ্রবেশের সুযোগ লাভের আশায় তুরস্কে আসার প্রবণতা বেড়েছে। তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে ইউরোপে অবৈধভাবে গমন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ কারণে তুরস্কের আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনে শ্লথগতি ও মানবিক সংকটের আশঙ্কা করছেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত জানান, এই দূতাবাস ও ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেলের হিসেব অনুযায়ী আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এতে করে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন :
যারা অবৈধভাবে তুরস্কে অবস্থান করছেন অথবা যারা তুরস্কের ডিটেনশন সেন্টার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন, তাদের অনেকে আবার ইউরোপ গমনের জন্য সমুদ্র পথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টাকালে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন। এদের অনেকেই তুরস্কে সক্রিয় মানবপাচারকারী দলের প্রলোভনে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে একজন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
বাংলাদেশি নাগরিকেরা তুরস্কে সক্রিয় বিভিন্ন সংঘবদ্ধ সংগঠনের খপ্পরে পড়ে টাকার লোভে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমে জড়িত হচ্ছেন। সম্প্রতি তুরস্কে সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় উজবেক ও কিরগিজ নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে তুরস্কে আসা ব্যক্তিদের জন্য তুরস্ক কখনোই বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেনা। ফলে এসব লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প বেতনে বিপজ্জনক কাজ করে যা তাদের অর্থনৈতিক উত্তরণের কাজে লাগে না। তুরস্কের সাথে ই ইউ’র এর বিদ্যমান অভিবাসন চুক্তির আওতায় তুরস্ক-ইউরোপে পাড়ি জমান অসম্ভব এবং এ অপচেষ্টা অর্থহীন।
ইউরোপে গমনেচ্ছুক বাংলাদেশিদের এধরনের অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকির বিষয়ে আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।