প্রধান মেনু

তীব্র নীল নি:শেষে লাল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ”বইয়ের মোড়ক উন্মোচন“

মোঃ শাহজালাল দেওয়ান : প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে নিয়ে মো: রশিদুল হাসানের লেখা “তীব্র নীল নি:শেষে লাল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সম্পাদক মো: রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো: জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। মুখ্য আলোচ্যক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর ড: মো: আকতারুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্যে বইটির সহ সম্পাদক অধ্যাপক ড: মো: আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যার আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়েছে তার কর্ম। তার জীবন আদর্শ তিনি ছিলেন সৎনির্লোভ নিরহংকার একজন নীতিবান মানুষ। তিনি সরাজীবনই সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে স্বোচ্ছার ছিলেন। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্তান নেয়ায় তাকে অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল।

তবেতিনি বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন মানুষের অন্তরে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: দীপু মনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ, আদর্শ শিক্ষক ও জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা। তিনি ১৯৬৬ সালের ছয়দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের দেরাদুনে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অত:পর তিনি মুজিব বাহিনীতে যোগদান করেন এবং পাক আর্মিও বিরুদ্ধে একাধীকবার সফল অপারেশন পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: ওয়াদুদুর রহমান, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম সরকার, যুবলীগ নেতা শাহীন আহমেদ মিশু, টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মনি সরকার, ছাত্রলীগ নেতা কাজী মঞ্জুর, রেজাউল করিম, আরিফুর রহমান পলাশ প্রমুখ।