তরুণদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক —কৃষিমন্ত্রী
তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, এই তারুণ্যের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার শতভাগ আন্তরিক। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রায় যুক্ত করা হবে তরুণদের। আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর খামার বাড়ির কেআইবি অডিটোরিয়ামে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনের ইশতেহারে দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্যে স¦য়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ শিক্ষা স্বাস্থ্য নানা বিষয় এবং ভিশন ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা করে , যার অধিকাংশ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তেমনি ২০১০-২০১৫ পর্যন্ত ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ঘোষণা করে এর কিছু অর্জিত হয়েছে কিছু হয়নি। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বড় অন্তরায় ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষ করে ২০১৩-২০১৪ সালের রাজনীতির নামে নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাস, অন্যথায় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচক অর্জিত হতো। প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল শর্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা। কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অর্জন অনেক বেশি। এমডিজির অধিকাংশ সূচক আমরা অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বেশি। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিনিয়োগের যথেষ্ট অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।
এছাড়া দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও ক্ষেত্র উভয়ই রয়েছে। বাংলাদেশ আগামী দুই এক বছরের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে এক নতুন কর্মচাঞ্চল সৃষ্টি হবে সবক্ষেত্রে, বাড়বে কর্মসংস্থান, ঘটবে স্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষার প্রসার ও কর্মসংস্থান। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম।