ঢাকার ২০ টি আসনে আ.লীগের একাধীক প্রার্থী,আসছে পরিবর্তন।
আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বে ঢাকার ২০ টি আসনে আ.লীগের প্রার্থী পরিবর্তন আসতে পাড়ে। ওজন মেপেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন দিবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কারণ, আগামী নির্বাচন দলটির জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। জনবিচ্ছিন্ন ও বিতর্কিত দলীয় এমপি এবং নেতারা আগামী একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন, এটাও নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর সকলদিক বিবেচনা করে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দিবে আওয়ামী লীগ।
বিশেষ করে, ঢাকা জেলার আসনগুলোতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করবে দলটি। চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একই সঙ্গে টানা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে আওয়ামী লীগ। এতে প্রায় একধীক আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে দলটির। তবে আওয়ামী লীগের অধীনে গঠিত ১৪ দলের (মহাজোট) শরীকদের জেলার আসনে ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে পারে দলটি। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, যেসব সাংসদ বার্ধক্যে উপনীত, দলে সময় দিতে পারেন না, অপরাধের সঙ্গে জড়িত, গণবিচ্ছিন্ন, বিতর্কিত, সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তাদের এবার মনোনয়ন দেয়া হবে না।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় একাধিক নেতারা জানান, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কে নির্বাচন করবেন সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হবে। শক্তিশালী প্রার্থীর বিপরীতে জয়লাভ করতে পারবেন এমন প্রার্থীকে বেছে নেয়া হবে।
এদিকে, দলের তৃণমূল নেতারা চায় যোগ্য প্রার্থী। সেই সঙ্গে প্রার্থীর ‘ক্লিন’ ইমেজ। যারা আগামী নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। শুধু কথা নয়, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এলাকার সকল সমস্যা সমাধানের ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা-১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ) আসনে প্রার্থী দিবে আওয়ামী লীগ। কারণ এমপি জাতীয় পার্টির নেতা সালমা ইসলাম। এরশাদের আরেকটি জোট গঠনের কারণে বাদ পড়তে পারেন তিনি। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান খান ও ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর) আসনে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপির অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুরত্ব এবং কামরাঙ্গীচরে নানান সমস্যা থাকার কারণে টিকেট বঞ্চিত হতে পারেন তিনি। তবে একাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ। শাহিন বলেন, আমি ঢাকা-২ আসন নিয়ে ভাবছি। কারণ ওই আসনের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমাকে চায়।
ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে একক প্রার্থী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এলাকায় সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বিপু। আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মিরাজুর রহমান সুমন বলেন, নসরুল হামিদ বিপু সৎ মানুষ। এ আসনে তার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আগামীতে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী এবং নিশ্চিত এমপি হবেন।
ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসনেও প্রার্থী দিবে আওয়ামী লীগ। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি আরেকটি জোট গঠন করার কারণে, মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাবে না বাবলা। এ প্রসঙ্গে সানজিদা খানম বলেন, আমি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চাইব। কারণ আমি দু’বার নৌকা প্রতীক পেয়েছি। আশা করি এবারও পাব।
ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) আসনের বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা। নানান কারণেই এলাকাতে তিনি প্রসংশিত। দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে, বয়সের ভারে নূয্য হওয়ায় একাদশ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, সেই ক্ষেত্রে তার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজলের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে পারে আওয়ামী লীগ। বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা ফিরোজ রশিদ।
ঢাকা-৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসনের বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন তিনি। এখন আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে পরিচিত সেলিম। শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে একাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তিনি। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে। দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক। তিনি বলেন, এলাকার সকল উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার জন্যই কাজ করবো।
ঢাকা-৮ (রমনা-মতিঝিল) আসনে বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি আগামী নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন দিবে নাকি আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিবেন তা স্পষ্ট নয়। এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন সম্রাটসহ আরো কয়েকজন রয়েছে। বিশ্বাস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এই আসন থেকে নির্বাচন করতে দলীয় প্রধানের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
ঢাকা-৯ (মুগদা-সবুজবাগ) আসনে একক প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) আসনের একক প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি। নির্বাচনী এলাকায় সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। দক্ষ, বিচক্ষণ, সাদালাপি, সৎ এবং ভালো মনের মানুষ বলেই আগামী নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তাপসের।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল বলেন, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অতি-অল্পসময়ের মধ্যে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাকা-১০ আসনের দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মন জয় করতে পেরেছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। কামাল বলেন, এলাকার অবকাঠামগত উন্নয়নের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা-ঘাট, পয়নিষ্কাসন এবং জলবদ্ধতা নিরসনসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। তিনি অত্যান্ত,অমায়িক বিনয়ী ভদ্র মানুষ।
ঢাকা-১১ (বাড্ডা-ভাটারা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে একক প্রার্থী তিনি। দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে, একাদশ নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাকেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি।
ঢাকা-১২ (তেজগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা বেশি। নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার।
ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসনে আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের নাম শোনা যাচ্ছে। দুই জনই দলের নিবেদিত প্রাণ। দলটির এক সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর কবীর নানককেই প্রাধান্য দেয়া হবে।
ঢাকা-১৪ (মিরপুর-শাহআলী) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভবনা অনেক বেশি। নানান কারণেই বর্তমান এমপি আসলামুল হকের অবস্থা নড়বড়ে। সকল দিক বিবেচনা করে এই আসনে নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারে আওয়ামী লীগ। ঢাকা ১৪ আসনের নৌকা প্রতীক নিয়ে এবার মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে সরকারি বাঙলা কলেজের সাবেক জি.এস, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.বি.এম মাজহারুল আনাম এবং ঢাকা ১৪ আসনের বর্তমান এম.পি আসলামুল হকের মধ্যে।
তাই সব কিছু বিবেচনায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার পাল্লা এ.বি.এম মাজহারুল আনামের দিকেই ভারী। এছাড়া-সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, তাহলে মনোনয়ন দিবেন। আমি নৌকার পক্ষের মানুষ, সেক্ষেত্রে নৌকার মাঝি যেই হোক তার পক্ষে কাজ করবো।
ঢাকা-১৫ (কাফরুল) আসনে আওয়ামী লীগ-আওয়ামীগের দ্বন্দ্ব রয়েছে প্রকাশ্যই। বর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারকে যদি আবারও মনোনয়ন দেয়া হয় দল থেকে তাহলে ভরাডুবির সম্ভবনা থাকছে বলে বিশ্বাস্ত এক সূত্র জানিয়েছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, এবার যদি তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে এখানে পাশ করা কঠিন হবে। জানতে চাইলে সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আলহাজ্ব এম সাইফুল্লাহ সাইফুল বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি অবশ্যই পাশ করব।
এছাড়া-সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার ভাই এখলাছ উদ্দিন মোল্লা, কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার আলহাজ্ব জামাল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফা খাতুন তাহেরা।
ঢাকা-১৬ (পল্লবী-রূপনগর) আসনে একাদশ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা তেমন একটা বেশি নয়। বর্তমান এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার নানান দুর্নীতি থাকলেও মনোনয়ন পাওযার ক্ষেত্রে তারই সম্ভবনা বেশি। সম্ভাব্য প্রার্থী- মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মহিউদ্দিন।
ঢাকা-১৭ (গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রার্থী দিবে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপির নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া-সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক গুলশান থানার সভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন ও ২০ নং ওয়ার্ড কমিশনার নাসির উদ্দিন।
ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসনে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি পুনরায় মনোনয়ন পেতে পারে বলে দলীয় এক সূত্রে জানা গেছে। এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আরো ৫জন প্রার্থী রয়েছে।
ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে দলটির প্রার্থী পরিবর্তন আসতে পারে। ঘুরেফিরে সাবেক এমপি তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বর্তমান এমপি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এনামুর রহমান। আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও তেঁতুলঝরা ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর।তিনি বলেন, এলাকার সকল উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার জন্যই কাজ করবো।
ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনেও পরিবর্তন আসতে পারে। এই আসনটির বর্তমান এমপি ধামরাই থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক। এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় একাধিক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে।