প্রধান মেনু

ডেনমার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে – কৃষিমন্ত্রী

আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত Winnie Estrup Petersen সাক্ষাৎ করেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের কৃষি ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাতে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের ও দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে। এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় ডেনমার্ক। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় ডেনমার্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, স¦াধীনতা-উত্তর সময়ে ডেনমার্ক বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে।

দেশটি মৎস্য প্রযুক্তি ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা করে। এছাড়া ডেনমার্কের সাথে ২০১৬ সালে কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দেশটির সাথে কৃষি, পর্যটন ও নির্মাণ খাতের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও দু’টি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। দেশটির সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে, উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ একান্ত প্রয়োজন। যার ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে, আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে,বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে এবং জনগণের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত সম্ভব।

এই শিল্পে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করতে হবে। কৃষক যে ফসলে ভালো দাম পাবে সেই ফসলই ফলাবে। আমাদের কৃষি ও কৃষকদেরকে বাঁচাতে হলে প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ অপরিহার্য, সর্বোপরি বিনিয়োগে আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ডেনমার্কের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন ডেপুটি হেড অভ মিশন Refika Hayta.. এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্রের (আইএফডিসি) এর প্রতিনিধি ইসরাত জাহান। দেশে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাজ করছে সংস্থাটি। আইএফডিসি’র প্রতিনিধি কৃষিমন্ত্রীকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। কৃষিমন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।