‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিয়েছেন-প্রধানমন্ত্রী
শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ‘জয় বাংলা’ শব্দটি দেশের প্রতিটি অর্জনের সাথে ঘনিষ্টভাবেজড়িত। বঙ্গবন্ধুর আহবানে জয় বাংলা শ্লোগান নিয়ে ছাত্র, জনতা থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। দেশকে স্বাধীন করেছিল। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন, তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধে নের্তৃত্বের সুযোগ দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবে আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিয়েছেন। ঝিনাইদহে জয়বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।মন্ত্রী আরো বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ঝিনাইদহ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে একটি মডেল হিসাবে তুলে ধরেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন,মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ইয়াং বাংলা প্লাটফর্মের যাত্রা শুরু। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন, তরুণ প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধে নের্তৃত্বের সুযোগ দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবে আজ তার কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে এদেশে তরুণরা আন্দোলন সংগ্রামে সফলতা অর্জণ করেছে। তারা ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ৭১এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যেশ্য ছিল একটি প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তার এ উদ্যোগ আজ সফল হতে চলেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে পা না থাকলেও মেধা থাকলে উন্নতি করা যায়। ১১হাজার তরুণ এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসে মার্কেট প্লেসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে। প্রতিবন্ধী ৩ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্ম নির্ভর করা হবে। সাড়ে ১০ হাজার নারী উদ্যোগতাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইয়ুথ বাংলা তাদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। ঝিনাইদহে বনাঢ্য জয়বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের ‘‘আমি ঠিক দেশ ঠিক” স্বারক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ঝিনাইদহ পৌরসভা ও কথন সাংস্কৃতিক সংসদ যৌথ ভাবে এ সম্মাননা প্রদান করে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ -২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সিআর আই এ এ্যাসোসিয়েট কো- অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ, সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ ড.বি এম রেজাউল করিম, এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু নাসের। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেরস্বরী উপজেলার আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বজিৎ বর্মণ, ঢাকার ডেমরার মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের ডা.সালমা সুলতানা, যশোরের স্বপ্ন দেখো সমাজ কল্যাণ সংস্থার জহির ইকবাল নান্নু ও গজীপুরের হুইল চেয়ার ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর মোহাম্মদ মহাসিন তাদের প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে ৩৮টি জেলা থেকে আগত ৪৯ টি জয়বাংলা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড সম্মাননা জানান হয়। এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলার ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।পরে আলোচনা সভা শেষে সারা বাংলাদেশে তরুণদের আত্কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকার জন্য ৮৯ জন তরুণকে জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।