প্রধান মেনু

ডিও লেটার ও সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারে সাবেক এমপি র আহ্বানে মানববন্ধন

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছার আলোচিত গাংরখী-শালুকখালী নদী অবমুক্ত রাখতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও। এলাকাবাসীর ন্যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জনস্বার্থে নদীটি অবমুক্ত বহাল রাখার দাবী জানিয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলা সদরে এলাকাবাসী পুনরায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে জানাগেছে। আলোচিত নদীটি পুনরায় ইজারা প্রদান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের একটি ডিও লেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোড়পাড় সৃষ্টি হয়। ইজারা চেষ্টার প্রতিবাদে গত শুক্রবার এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট এলাকায় মানববন্ধন করে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। অবমুক্ত রাখার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দা ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল। একই ভাবে মন্তব্য করেছেন, গড়ইখালী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে মৎস্য মন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন, জলমহলটি বর্তমানে জন সাধারণের ব্যবহারের জন্য যেভাবে উন্মুক্ত আছে সে ভাবেই বহাল থাকবে এই নিশ্চিয়তা প্রদান করার লক্ষে মাননীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টা মহোদয় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে যে সুপারিশ ও ডিও লেটার প্রদান করেছেন তা প্রত্যাহার করে নেবেন।

সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, এটা করলে বিষয়টি নিয়ে জন সাধারণের মনে সৃষ্ট অসন্তোষ ও উত্তেজনা অচিরেই প্রমোশিত হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, এ ধরণের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল মহলের সাথে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে এরূপ আত্মঘাতি, গণঅসন্তোষ কখনো সৃষ্টি হবে না। তিনি গাংরখী-শালুকখালী নদীর ইজারা না দিয়ে জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এদিকে আজ বুধবার সকালে নদীর ইজারা চেষ্টার ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে বলে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে নদীর নেটপাটা অপসারণ করার মাধ্যমে আলোচিত গাংরখী-শালুকখালী নদী অবমুক্ত ঘোষণা করেন।