টিকটককে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন
ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে এবং দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে টিকটক ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। মন্ত্রী এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটককে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। টিকটকের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলেনা লার্স ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিনোদনের জন্য ব্যবহার করে। এই মাধ্যমটি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারকারীগণ যাতে কাজে লাগাতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষামূলক উপাত্ত প্রচারের পাশাপাশি ইতিবাচক কাজে টিকটক ব্যবহারে আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা গ্রহণের পরামর্শ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী ১৯৯৯ সাল থেকে শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি এবং এর ফলে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে নতুন প্রজন্মের অগ্রগতিতে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট মানব সম্পদ তৈরির অংশ হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৬৫০টি স্কুল ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। আরো এক হাজারটি প্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। টিকটক যাতে শিক্ষামূলক কনটেন্ট প্রচারের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক রীতিনীতির সাথে মানানসই সামাজিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে টিকটককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত। তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি দেশের তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
হেলেনা লার্স ডিজিটাল সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেন এবং তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিসহ সকল রীতিনীতি মেনে টিকটককে গণমানুষের প্রিয় প্লাটফর্মে রূপান্তরে উদ্যোগ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।