প্রধান মেনু

টঙ্গীর বেশির ভাগ সড়ক এখন চলাচলের অযোগ্য

বর্ষা আসার সাথে সাথেই গাজীপুরের টঙ্গীর বেশির ভাগ সড়ক এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকা ও বেপরোয়া ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সড়কগুলোর মাঝে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই পাশে দেবে গেছে। পাশের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিনে পরিষ্কার ও সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি সড়কের ওপর জমে থাকছে। বাড়িঘরের ময়লা-আবর্জনা সড়কে স্তূপ হয়ে পড়ে আছে। কোনো কোনো সড়কে জলাবদ্ধতা খালের মতো হয়ে গেছে। পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত সড়কে হেঁটে যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে।

ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কের একটি অন্যতম ব্যাস্ত রাস্তা আনার কলি সিনেমা হলের সামনে থেকে টঙ্গী বাজাররের মোড় পর্যন্ত দেখ দিয়ে প্রতিদিন ভারী যানবাহন থেকে শুরু করে নানা ধরনের গাড়ি চলাচল করে, এ সড়কের কিছু অংশে আরসিসি ঢালাইকাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি। ফলে এ সড়কের আশপাশের গলি দিয়ে বিকল্প যাতায়াত করতে হচ্ছে। বেপরোয়া ভারী যান চলাচলের কারণে শাখা সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বাড়িঘরের অব্যবহৃত টুকরা ইট, বালি ও রাবিশ ফেলে সড়কের গর্ত ভরাট করে কোনো রকমচলাচলের ব্যবস্থা করছে। সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি রোডের পুরোটা ভেঙে গেছে।

এরশাদ নগররের মেইন রোড থেকে রোডের বেশ কিছু অংশে সড়ক যেন খালে পরিণত হয়েছে, বড় বড় গর্ত ছাড়াও ভেঙে দেবে গেছে। এতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের পাশের মার্কেটে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জমে থাকা পানির ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করার কারণে পানি ছিটকে ও ঢেউয়ে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। টঙ্গী থানা রোড ও মেঘনা রোড এলাকার সড়কগুলোর মাঝে ইট ও পিচ উঠে গিয়ে সড়কজুড়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন পরই এই এলাকায় মিলবে বিশাল কোরবানির পশুর হাট তাই কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে ইটের খোয়া বিছিয়ে এই রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল করছে ।

মিলগেট এলাকায় সড়কের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, এ সড়কে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও বিশাল জুট পল্লী রয়েছে। এ সড়কের পুরোটা গর্তে ভরা। প্রায়ই গর্তে পড়ে মালবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ছে। টঙ্গীর রেল গেইট রোড মদিনা পাড়া বি কম মতিউর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের একই হাল ভাঙা ও গর্তে ভরা সড়কের দুই পাশের ড্রেনগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার না করায় বর্ষাকালে ডুবে থাকে। তখন হেঁটে যাতায়াত করায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। প্রতিদিন হাজার হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হেঁটে যাতায়াত করতে গিয়ে ময়লা পানি ও কাদায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এসব সড়কে বৃষ্টির পর পানি থই থই করে, তখন গর্তও দেখা যায় না। রিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন ডুবে যাওয়া গর্তে পড়ে লোকজন আহত হয়।

এ ছাড়া টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের দুই পাশে ফুটপাতজুড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। প্রায়ই যানবাহন গর্তে পড়ে যান চলাচলে   বিঘ্নতা   সৃষ্টি করছে। সড়কের দুই পাশ দিয়ে পিচ্ছিল কাদা ও ময়লাপানিতে যাতায়াত করতে গিয়ে জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের। এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ওওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগন।