প্রধান মেনু

ঝিনাইদহে বিডা’র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ১৯ফেব্রুয়ারি ২০২১ঃ দেশে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিডা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়।‘তারুন্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়।

র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রান্তিক শিশু পল্লীতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে বিডার প্রশিক্ষক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, উদ্যোক্তা ইসাহাক আলী, গোলাম মোস্তফা চঞ্চল, শফিক মেহমুদ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। মিলন মেলায় বিডা থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১৪ টি ব্যাচের উদ্যোক্তারা অংশ নেয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিডা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া উদ্যোক্তা ইসাহাক আলী জানান, ব্যবসা কীভাবে শুরু করতে হয়, কোন ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যায়, কীভাবে ব্যবসার পরিকল্পনা করতে হয় বিডা প্রশিক্ষণে এসব শেখানো হয়।তিনি আরো জানান, প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া ব্যক্তিরা তিনটি উপায়ে বিনিয়োগ করেছেন।কেউ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, কেউ ঋণ নেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে, আবার কেউ আত্মীয়স্বজন থেকে ঋণ নেন।

বিডা প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ন্যুনতম যোগ্যতা এইচএসসি পাস ও বয়স ১৮-৪৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ- পরবর্তী উদ্যোক্তা হওয়ার হার ১ থেকে ২ শতাংশ, সেখানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার হার ২০ শতাংশ। উদ্যোক্তা গোলাম মোস্তফা চঞ্চল বলেন, গত দুই বছরে মৎস্য খাতেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছেন নতুন উদ্যোক্তারা। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতেও যাওয়ার প্রবণতা বেশি।

এ ছাড়া প্লাস্টিক, চামড়া, পোশাক, কৃষিজাত পণ্য খাতেও বিনিয়োগ হয়েছে।বিডার প্রশিক্ষক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শিক্ষিত বেকার যুবকদের আমরা টার্গেট করি। সারা দেশেই বিডার কার্যালয়গুলোর মাধ্যমে প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জেলার সফল ব্যবসায়ী, কর কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, যাতে সরকারি সেবা পেতে সহজ হয়।

করোনার মধ্যে এখন অনলাইনে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। কেউ প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হয়।