জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই বাস্তবায়নধর্মী পরিকল্পনা আবশ্যক—-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর): বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই বাস্তবায়নধর্মী পরিকল্পনা আবশ্যক। জ্বালানির আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। বহুমুখী সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে জ্বালানি বিভাগ তৃতীয় হওয়ায় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদনের বিষয়গুলো যতই চর্চার মধ্যে রাখা যাবে ততই কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের কারণে ঋণের সুদ বেড়ে যাবে। ভালো প্রকল্পের জন্য যা কোনো বিষয়ই না। বাস্তবতার নিরিখে গৃহীত প্রকল্প দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থনীতির আকার ও অর্থনীতির ধরণ পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদেরকেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আগামীতে সবার প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়।
উল্লেখ্য, এপিএ বাস্তবায়নে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১০০ এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৩ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ম স্থান অর্জন করেছিল। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন করেছে ১০৩ দশমিক ৪ ভাগ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০৩ দশমিক ৫২ ভাগ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৪ দশমিক ২৭ ভাগ। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে বরাবরই ভালো করে আসছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এনডিসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং দপ্তর প্রধানসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।