জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারে সরকারের কোনো হাত নেই — আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি রাজনৈতিক মামলা হিসেবে পরিচিত করার অপপ্রচার চালানো হলেও এটি আসলে রাজনৈতিক মামলা নয়, এর সাথ রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আইন উপকমিটি আয়োজিত ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে চান। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন কেউ আইনের উর্ধ্বে নন। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। অন্যায়কারী যে দলেরই হোক অন্যায়ের বিচার করা হবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগের একটি আদালত এই মামলায় সাজা দিয়েছে। তিনি বলেন, বিচারক বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে খালেদা জিয়ার পাঁচবছর সাজা দিয়েছেন। সরকারের এখানে কোনো হাত নেই। আসলে বিএনপি মূল ব্যাপারটিকে অন্যদিকে পরিচালনা করার জন্যই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের সময় পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে যে, জিয়াউর রহমান এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিল। তিনি বলেন, বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ধারণ করেছে, লালন করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে মিশনগুলোতে চাকুরি দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়। সেকারণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করেছে এবং তাঁর প্রচেষ্টায় ২০০৯-১০ সালে দুদক প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৯ ধারা সংশোধন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজদের দলে ঠাঁই দেয়ার জন্যই তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল দুর্বত্তায়নের বিরুদ্ধে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার আদর্শ অনুসরণ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও আইন উপকমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন।