প্রধান মেনু

জাতীয় শিল্প মেলায় পুরস্কার পেল ২৪ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে — শিল্পমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে শিল্পখাতের বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয় টেকসই শিল্পখাতের বিকাশে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসা ও উৎপাদনবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে। উদ্যোক্তারা যেখানেই সমস্যায় পড়ছেন, সেখানেই শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী আজ প্রথম জাতীয় শিল্প মেলা ২০১৯- এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অভ ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দক্ষ বেসরকারিখাত গড়ে তুলতে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্যোক্তাদেরকে সহজ শর্তে ঋণ ও মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বাজার লিংকেজ স্থাপন, প্রকল্প গ্রহণ সহায়তা, ডিজাইন ও নকশা উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরণের নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। তিনি অর্থায়নকে এসএমই খাতের বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত এটি কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদেরকে পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের তাগিদ দেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই শিল্পায়নের জন্য শ্রমিক দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি। শিল্পখাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশে শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)- এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে। তিনি সরকারের উদ্যোগের  পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকেও দক্ষতা উন্নয়নধর্মী প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যেই শিল্প সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৮টি ক্যাটেগরিতে মোট ২৪টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটেগরিতে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে কুষ্টিয়ার বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রাজধানীর নাদিয়া ফার্নিচার লিমিটেড এবং রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে রাজধানীর মেসার্স রকসি পেইন্টস  লিমিটেড, মেসার্স ফাস্ট অটো ব্রিক্স লিমিটেড এবং প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে নাটোরের মেসার্স নবতি ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাঃ) লিমিটেড, রাজধানীর মেসার্স এগ্রো মেশিনারী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এনেক্স বাংলাদেশ। মাইক্রো শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে রংপুরের রংপুর ক্রাফট, ঢাকার ডিজাইন বাই রুবিনা এবং কারিগর।

হস্ত ও কারু শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে রাজধানীর জারমার্টজ লিমিটেড, ময়মনসিংহের সাকুরা হ্যান্ডিক্রাফট সেন্টার এবং ঢাকার প্রকৃতি হ্যান্ডক্রাফট। কুটির শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে রাজধানীর মম’স কালেকশন, নেত্রকোণার নবাবী ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং কুষ্টিয়ার কে.বি.পটারি ইন্ডাস্ট্রিজ। হাইটেক শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে গাজীপুরের ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রাজধানীর শ্যামলী আইডিয়া থ্রিডি সলিউশন এবং স্যামসাং ইন্ডাস্ট্রির ফেয়ার ইলেক্টনিক্স লিমিটেড। বয়লার শিল্প ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ঢাকার মডার্ণ ইরেকশন লিমিটেড, আলিফ বয়লার কোম্পানি লিমিটেড এবং গোল্ডেন বয়লার কোম্পানি লিমিটেড। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ মেলার সমাপনী হলেও উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে আরো দুই দিন (৭ ও ৮ এপ্রিল) মেলা চলবে।