জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০১৬-১৭ সময়ে জাতীয় রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতী রপ্তানিকারকদের রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ উদ্যোগ একদিকে যেমন রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
রপ্তানি বাণিজ্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি রপ্তানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান-২০১৯ দেশের কৃতী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানে সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এর ফলে দেশের অন্যান্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে আমাদেরকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সুসংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই শিল্পায়নের প্রসার ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রপ্তানিকারকদের সম্মাননা ও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ এর আলোকে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক-এ কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’