জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
প্রধানমন্ত্রীর বাণী:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিকর খাদ্য ও নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন এবং ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। এর সঙ্গে সংগতি রেখে সরকার ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় কাউকে পিছনে ফেলে নয় বরং সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রয়োজন সুস্থ জীবন ও সুস্থ সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।আমি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যশৃঙ্খল প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
রাষ্ট্রপতির বাণী:: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্বিতীয়বারের মত ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে আমাদের অভিযাত্রায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিপাদ্যটি তাৎপর্যপূর্ণ ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। অনিরাপদ খাদ্য ক্যান্সার, কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ ঘোষণানিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যসহ কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। উৎপাদনের মাঠ থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”