প্রধান মেনু

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৫ মাঘ (২৮ জানুয়ারি): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

এবারের শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষার আলো জ্বালাবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন, সুশিক্ষিত আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা ইউনেস্কো ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। সরকার সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) বাস্তবায়ন করেছে।

এ বছর ১ জানুয়ারি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি রঙিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। একই দিনে প্রথমবারের মত চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা এই পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৪ হাজার ৬৬১ জন শিশুর মাঝে তাদের মাতৃভাষার এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প (৩য় পর্যায়) থেকে ১ কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় বহির্ভূত, অনগ্রসর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষার জন্য সেকেন্ড চান্স এডুকেশন ও আনন্দ স্কুল চালু রয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। আমাদের এ সকল পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথক ওয়াশ ব্লক নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকের ইন্টার-অ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবরাহের মাধ্যমে ৫ হাজার ৪’শ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আমি আশা করি, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শিক্ষাখাতে এ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্যমুক্ত ও নিরক্ষরতামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব। আমি ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”