প্রধান মেনু

জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম ১২ জুন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ’র সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। রোহিঙ্গা ইস্যু এবং জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনসহ বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজভূমি রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতা ও বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলো তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের দায়বদ্ধতার ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও মহাসচিবকে অবহিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার কারণে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তবে বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আসন্ন ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের দিকে তাকিয়ে আছে জাতিসংঘ। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে সে জন্য ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।

পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ১২ জুন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন। ল্যাক্রুয়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত অংশগ্রহণ ও সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরো বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করবে মর্মে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল তাঁর প্রত্যাশার কথা জনান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে জানান বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধি করছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।