জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনের লক্ষ্যে বিসিসিটির সংস্কার করা হবে—-পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ আষাঢ় (২১ জুন) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা অর্জনে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি)-এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এ ডাইরেক্ট এক্সেস এনটিটি হিসেবে বিসিসিটির নিবন্ধন প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠেয় ২৯তম কনফারেন্স অভ্ দ্য পার্টিজের প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কপ-২৯ এ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে অভিযোজন অর্থায়ন, লস এন্ড ড্যামেজ ফিন্যান্সে বাংলাদেশ যাতে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করতে পারে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী কপ-২৯ এ কার্যকরী অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী কান্ট্রি পজিশন পেপার প্রস্তুত করতে হবে। জাতিসংঘ, জিসিএফ-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক জোটের সাথে বাংলাদেশের যৌথসাইড ইভেন্ট আয়োজন-সহ একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী এবং পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো: জিয়াউল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সম্প্রতি জার্মানীর বন শহরে অনুষ্ঠিত ৬০তম সাবসিডিয়ারি বডির সভায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল উক্ত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পরিবেশমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং মন্ত্রী এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।