জনপ্রিয় হচ্ছে স্ট্রবেরির চাষ
স্ট্রবেরি চাষে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের কৃষকদের। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রসালো ফল হওয়ায় সিরাজগঞ্জে স্ট্র্রবেরি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাণিজ্যিকভাবে স্ট্র্রবেরি চাষ শুরু করেছেন কৃষকেরা। ভালো লাভ পাওয়ায় ঝুঁকে পড়েছেন স্ট্রবেরি চাষে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রবেরি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চারা লাগানোর দেড় মাস পর থেকে শুরু হয় ফল আসা। ব্যাংক ঋণ অথবা সরকারিভাবে কোনো আর্থিক সহায়তা পেলে স্ট্রবেরি চাষে প্রসারতা আরো দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকেরা।
আমাদের দেশে রাবে ত্রী ও আমেরিকা দুই জাতের স্ট্রবেরি ফলের চারা পাওয়া যায়। তার মধ্যে রাবে ত্রী জাতের ফল অত্যন্ত সুস্বাদু। স্ট্র্রবেরি চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উচিঁঙ্গা পোকা ও পিঁপড়া গাছের কিছুটা সমস্যা করে। এ বছর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে স্ট্রবেরি বিক্রি করছেন কৃষকেরা।
উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক আলী আকবর বলেন, এ বছর আমি চার বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছি। আমার মোট খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা, ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এবার দ্বিগুণ লাভ পাবো।
রায়গঞ্জ উপজেলা চান্দাইকোনা গ্রামের হাসান আলী জানান, স্ট্রবেরি ফলের কথা শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বগুড়ার শেরপুর এক খামার থেকে স্ট্রবেরির চারা নিয়ে আসি গত বছর। বাড়ির পাশে ৫০ শতক জমিতে স্ট্র্রবেরি চাষ করি। এর দেড় মাস পর থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। ফল আসা পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। তখন বাজার ভালো থাকায় আমি অনেক লাভের মুখ দেখেছি। এবারও ৩/৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কৃষক আবু তালেব জানান, আমি এবার প্রথম স্ট্রবেরি চাষ করেছি। শুনেছি অনেক লাভ। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে কতটুকু লাভবান হব বুঝতে পারছি না। বিক্রির পর বুঝা যাবে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, স্ট্র্রবেরি খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। ফলন ও লাভ দুটোই ভালো হচ্ছে। তবে স্ট্রবেরি ফল সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি সিরাজগঞ্জে। সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলে বেশি বেশি স্ট্রবেরি চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাসহ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
(মোঃ খালিদ আল আজাদ, সিরাজগঞ্জ)