প্রধান মেনু

জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে —স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সীমান্তে মাদকসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার সংসদ সদস্যদের নিয়ে আজ ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্যবৃন্দ তাদের স্ব স্ব এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পরামর্শ প্রদান করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা কাজ করছি। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে সীমান্তবর্তী দুইটি দেশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে। সীমান্তে হত্যা বন্ধে আলোচনা চলছে। তাছাড়া নিয়মিত মহাপরিচালক পর্যায় এবং ডিসি-ডিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে আলোচনার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও আমরা একইভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ আসাদুজ্জামান খান বলেন, সীমান্তে সারভেইলেন্স সিস্টেম চালু করেছি।

তাছাড়া সীমান্তে লিংকরোড হচ্ছে। সীমান্তে গরু পাচারও কমেছে কারণ দেশে গরু উৎপাদন বেড়েছে। মন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, সবাই মিলে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোন মাদক কারবারিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। আমরা মাদক আইনকে যুগোপযোগী করেছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে ইয়াবাকে মাদকের অন্তর্ভূক্ত করেছি। বর্তমানে করাবন্দিদের অর্ধেকের বেশি মাদক আইনে বন্দি। এজন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধ দমনের জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করছি। বিজিবির বিওপির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিজিবিতে আরো ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে। এতে আরো ৪টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যোগ হবে। কোস্টগার্ড এবং র‌্যাব ও পুলিশের আরো আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পুলিশে সাইবার ক্রাইম দমনে সাইবার ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সভায় সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার ৬২ জন সংসদ সদস্য, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকবৃন্দ, এনবিআরের প্রতিনিধি, ৮টি বিভাগের কমিশনারবৃন্দ, সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।