জঙ্গী মাদক ও সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে অভিভাবক শিক্ষক ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে – ফরিদপুরের জন সভায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গী মাদক ও সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে অভিভাবক শিক্ষক ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। তিনি আরো বলেন,ইসলামে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের কোন স্থান নেই। ইসলামকে বিতর্কিত করার জন্য জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐসকল অপচেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,২০০৮ সালে’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগনের বিভিন্ন উন্নয়নে আতœনিয়োগ করেছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করেছে। বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করেছে। কৃষক ও দরিদ্রদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত করেছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয় করলে ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করবে। তিনি আরো বলেন,বিএনপি নেত্রী আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখে জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়ে তাদের মদদ দিচ্ছে। তাদের জ্বালাও পোড়াও কর্মসুচি জনগণ প্রতিহত করে আজ ঘরে বন্দি করেছে। তাদের কোন কর্মসুচি জনগণ শনছে না ও অংশ গ্রহন করছে না। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত জনসভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী,বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,,স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কাজী জাফর উল্লাহ,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান,ডাঃ দিপু মনি, আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান এম.পি. প্রমুখ।
(মোঃ মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর)