প্রধান মেনু

চৌহালীতে যমুনার ভয়ে গুম হারাম

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জঃ  যমুনার ভাঙ্গণে চৌহালী পরিবারের অবস্থা আর মিয়ানমার থেকে আসা রহিঙ্গা পরিবার বলতে গেলে একই। কারন এদের বসত- বিটা যমুনার গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় এদের আশ্রয়স্থল ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ২৮ বসতবাড়ি নদীতে হারিয়ে গেছে। আর এসব কিছু ঘটেছে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে। এ ছাড়া প্রায় ৪৫০ মিটার এলাকায় দেখে দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবোকে বারবার বলা হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পশ্চিম জোতপাড়া এলাকাটি বিধ্বস্ত হল। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে শতকোটি টাকার শহররক্ষা বাঁধ, কেকে পশ্চিম জোতপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জনতা উচ্চ বিদ্যালয়।

চৌহালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও কেকে পশ্চিম জোতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে চৌহালী শহররক্ষা বাঁধের দক্ষিণ থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ মিটার এলাকায় শুরু হয় তীব্র নদীভাঙন।

মুহূর্তের মধ্যে পশ্চিম জোতপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডল, আব্দুর রহমান মোল্লা, মজিবর রহমান, ঠাণ্ডু মণ্ডল, আব্দুল কাইয়ুম, লুৎফর রহমান, আকবার আলী ও আব্দুল মতিন মণ্ডলসহ ওই গ্রামের অন্তত ২৮ বসতভিটা এবং ঘরবাড়ি নদীতে দেবে যায়। এসব বাড়িঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র, ৪টি ফ্রিজ ও গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নদীগর্ভে চলে গেছে।

অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখনও নদীভাঙ্গনকবলিত এলাকায় পাউবো কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি ও ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি কোনো ত্রাণ সহায়তা, এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ মোল্লা।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর পয়েন্ট করার কারণে এলাকাটি বিলীন হচ্ছে। দ্রুত ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানান তিনি।