প্রধান মেনু

ডাকাতদের আনাগোনা: নারীদের মধ্যে বিরাজ করছে শ্লীলতাহানীর আতঙ্ক

চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী ও আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ডাকাতদের আনাগোনা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে।এর ধারাবাহিক ভাবে ঘটে চলা ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। । ডাকাত ধোরতে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশকে অন্ধকারে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে। কিছুতেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না ডাকাতি।পুলিশ ও গ্রামবাসীর যৌথ প্রতিরোধের মাঝেও প্রতিরাতেই ডাকাতদের মহড়া প্রদর্শনের ফলে আতঙ্কের মাত্রা ধারণ করছে চরমে। প্রতিটি গ্রামের নারীদের মধ্যে বিরাজ করছে শ্লীলতাহানীর আতঙ্ক। নারীদের আর্তনাত আর চাপা কান্নায় নিয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে গ্রামের পাশ্ববর্তী থাকা বাড়ী ঘর ভেঙ্গে অন্যত্রে আশ্রয় নিচ্ছে অনেক পরিবার। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী,নেহালপুর,বোয়ালিয়া,ডিহি কৃষ্ণপুর,নলবিলা, পাশ্ববর্তী বলদিয়া, ফুলবাড়ীয়া গ্রামে প্রতিনিয়ত রাতে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা। আজ এ গ্রাম তো কাল ও গ্রামে ডাকাতি করছে ডাকাতরা। পুলিশ যদি যাচ্ছে পশ্চিমে ডাকাতরা হানা দিচ্ছে দক্ষিণে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ডাকাতদের র্সোসরা সর্বক্ষণিক পুলিশের গতিবিধি লক্ষ করে সুযোগ বুঝে তাদের কাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশী আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকার মহিলাদের মধ্যে। কারণ এলাকায় জোর গুঞ্জন রয়েছে, যে সমস্ত বাড়ীতে ইতোমধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সে বাড়ীগুলোর নারীদের পালাক্রমে ধর্ষন করা হয়েছে। তবে ভোক্তভোগীদের কেউই সামাজিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে ধর্ষনের বিষয়ে মুখ খুলছে না।অন্যদিকে ডাকাতিরা হুঁশিয়ার করে বলে গেছে ,যদি বাজারে চা-এর দোকানে বলিস,তাহলে রাতে এসে জবাই করে দেবো। গত ১৬ তারিখে হিজলগাড়ী মাঠপাড়ায় ডাকাতির শিকার দুটি বাড়ীর লোকজন বাড়ী ঘর ফেলে গতকাল গ্রামের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তা ও গ্রামের পাশে অবস্থিত অনেক পরিবারই অন্যত্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। হিজলগাড়ী এলাকাবাসীকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির
মুখোমুখি এর আগে কখনো হতে হয়নি। এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে
আরো জোরালো ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ।