চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের বিদায় অনুষ্ঠানে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে — আসাদুজ্জামান নূর এমপি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চীনা দূতাবাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় চীনের বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল আর্ট সস্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য ২জন দলীয় প্রধান ও ২০জন শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী প্রশিক্ষণার্থীসহ সর্বমোট ২২ জনকে চীনে প্রেরণ করা হয়। যার মধ্যে প্রথম দল হিসেবে ১০জন শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী ও ১ জন দলীয় প্রধানসহ সর্বমোট ১১জন চীনে সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে গত ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ১জন দলীয় প্রধান ও ১০ জন শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীসহ ১১ জনের নাম চূডান্ত করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ সালে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের স্বাগত ও ২০১৭-১৮ সালের জন্য নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীদের বিদায় উপলক্ষে আজ রাতে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
প্রধান অতিথি বলেন, চীন বাংলাদেশের কাছের ও পরীক্ষিত বন্ধু। চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও ক্রমাগত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এজন্য চীন সরকারের নিকট আমরা ঋণী। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের যথেষ্ট প্রতিভা আছে এবং বর্তমান সরকার তাদের প্রতিভা বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলতে চাই। আর সংস্কৃতি চর্চাই পারে একটি মানবিক জাতি গড়ে তুলতে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংচিয়াং (গধ গরহময়রধহম), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মোঃ বদরুল আনম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে ২০১৬-১৭ সালে চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।