চলমান কোটা সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা বহাল রাখা প্রয়োজন — সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আলোচিত কোটা সংস্কার প্রক্রিয়ায় ১ম ও ২য় শ্রেণিতে চাকরিতে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আজ রাজধানীর ইস্কাটনস্থ সুইড কনভেনশন সেন্টারে ‘প্রতিবন্ধী নারী অধিকার বিষয়ক সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান এসডিজি কর্মসূচির অন্যতম বার্তা হচ্ছে কাউকেই পিছনে ফেলে রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে দেশের প্রায় ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পিছনে ফেলে রেখে আমরা উন্নয়নের উচ্চশিখরে পৌঁছতে পারবো না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের দেশেরই সন্তান। সুতরাং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আমাদের নানাবিধ দায়িত্ব রয়েছে। চলমান কোটা সংস্কার প্রক্রিয়ায় ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে সকল কোটা বিলুপ্তির ক্ষেত্রে অসহায় প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য সম্পূর্ণ কোটা তুলে নেবার সময় এখনো হয়নি।
কারণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও কেবলমাত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী হবার কারণেই মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোটা রাখা গেলে এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে মেনন আরো বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সারা দেশে ১০৩টি প্রতিবন্ধীসহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। হুইল চেয়ার, সাদাছড়ি নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়ও দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য থেরাপি সেন্টার, অটিজম রিসোর্স সেন্টার করা হয়েছে। সাভারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুল ফর অটিজম ঢাকায় ৪টিসহ সারাদেশে মোট ১১টি স্থাপন করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যান বর্তমানে ৬৪টি জেলায় চলমান রয়েছে। ঢাকার টঙ্গীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাধ্যমে মুক্তা পানি নামে স্বচ্ছ পানি উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে এই মুক্তা পানি লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। মুক্তা পানি বিক্রির লভ্যাংশের পুরো অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তায় ব্যয় করা হচ্ছে।’ ডড়সবহ রিঃয উরংধনরষরঃরবং উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঋড়ঁহফধঃরড়হ (ডউউঋ) এর চেয়ারম্যান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিরিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, প্রতিবন্ধী বিষয়ক চিন্তাবিদ জুলিয়ান ফ্রান্সিস, নিজেরা করি এর নির্বাহী পরিচালক খুশি কবির, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা-মিন-আরা এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডউউঋ এর চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডউউঋ এর নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি।