প্রধান মেনু

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বশেমুরবিপ্রবি’র অনুমোদিত কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র : শিক্ষক নেতৃবৃন্দের উদ্বেগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু পরিষদ বশেমুরবিপ্রবি শাখার অনুমোদিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু পরিষদ বশেমুরবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, একটি মহলটি সংগঠনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মঙ্গলবার থেকে আইন সম্পুর্ন বহির্ভূত ভাবে অনুমোদিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে সদস্য অর্ন্তভুক্তির জন্য ফরম বিতরন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তারা সদস্য সংগ্রহ ফরমে বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিকৃত লোগো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করছে। এছাড়া ওই ফরমে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষরের জায়গাও রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. রাজিউর রহমান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাচিত কোন কমিটি নেই। তাহলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। গত ২ জুন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ডাঃ এস এ মালেক নবগঠিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। যা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ওয়ান লাইন পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৩ জুন নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হকের সাথে এবং ৪ জুন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খানের সাথে সাক্ষাত করে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের কার্যাক্রম শুরু করেন।

 

এ ছাড়াও কমিটির নেতৃবৃন্দ ৪ জুন কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কমিটির পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন সহ পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন। নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মিনারুর ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কেবল মাত্র আহবায়ক কমিটিই সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ফরম বিতরন করতে পারেন। অন্য কেউ এ ফরম বিতরন করলেও তা হবে অবৈধ। বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিকে বিতর্কিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। অনুমোদিত আহবায়ক কমিটির বাইরে কেহ সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালাতে পারেন না।

কেউ এ ধরনের কাজ কাজ করে তা হবে অবৈধ। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ফর্ম বিক্রেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক জয়নাব বিনতে হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৯৬১-৪০৯৬০০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না আমাকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী প্রফেসর ফাতেমা খাতুন আমাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ফর্ম বিক্রি করতে বলেছে তাই করছি আপনার এ ব্যাপারে কিছু জানার থাকলে আপনি তার সাথে কথা বলুন। বলে তিনি ফোন টি কেটে দেন। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী প্রফেসর ফাতেমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৬-৭৬১১৪৭ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের জন্য ফর্র্ম বিক্রি করছি।

কেন্দ্রের কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি আহবায়ক কমিটি তৈরী করা হয়েছে সেখানে আমাদের অনেক শিক্ষককে নেওয়া হয়নি। সে কারনে আমরা নতুন করে আরেকটি কমিটি করছি। কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ সময় বলেন, না আমরা কেন্দ্রের সাথে কোন যোগাযোগ করিনি। ফর্ম আমরা নিজেরা তৈরী করেছি প্রয়োজনে নিজস্ব গঠনতন্ত্র তৈরী করে সংগঠন করবো। আগে সদস্য সংগ্রহ করি তারপর কেন্দ্র থেকে অনুমোদন নিয়ে আসবো। এ সময় তিনি এ প্রতিনিধিকে বার বার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কক্ষে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানান।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম শিমুলের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৯৮৭-৫৫৩৫৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ সদস্য একটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে যার আহবায়ক ড. মো: শাহজাহান ও সচিব ড. রাজিউর রহমান। যা ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েব সাইডে প্রকাশ করা হয়েছে। একই জায়গায় দুটি কমিটির প্রশ্নই আসে না। অনুমোদিত আহবায়ক কমিটি ছাড়া যদি কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কমিটি করতে চায় সেটা অবৈধ তারা কোন দিনই অনুমোদন পাবে না। এ ধরনের কিছু যদি ঘটে থাকে তবে আপনি সংবাদ প্রকাশ করে তাদের কে জনসম্মুখে আনুন। কারন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বা তার আদর্শের সংগঠন নিয়ে কোন বির্তক তৈরী কারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।