গাংনীতে একই পরিবারের তিন শিশু প্রতিবন্ধী নিয়ে বিপাকে পরিবার
মজনুর রহমান আকাশ, গাংনীঃ একই পরিবারের তিন প্রতিবন্ধী শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের দিনমজুর আলী হোসেন। এদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুর মাথা অস্বাভাবিকভাবে ফুলছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ পরিবার। এমন তিন শিশু নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আলী হোসেন একজন দিন মজুর। তার স্ত্রীর কোলজুড়ে নয় বছর আগে আসে এক পুত্র সন্তান।
তার নাম মিম মাছাদ (৯)। শারীরিক নানা প্রতিবন্ধীতা নিয়ে শিশুটি বেড়ে উঠতে থাকে। দ্বিতীয় সন্তান আখি (৭) হাঁটতে পারে না। অনেকটাই প্যারালাইসিস রোগীর মতই। অপরদিকে তিন বছর বয়সী শিশু মানিক হোসেন হাঁটতে পারে না। তার মাথা অস্বাভাবিক মোটা। দিন দিন আরো মোটা হচ্ছে বলে জানান ওই পরিবারের কয়েকজন। স্থানীয়রা জানান, একই পরিবারের তিন শিশু প্রতিবন্ধী বলেই তাদের কষ্টের সীমা নেই। দিন মজুর আলী হোসেন যা আয় করেন তা দিয়ে সংসারই চলে না। তিন শিশুর চিকিৎসা করানো কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তারা চিকিৎসা অভাবে দিন দিন আরো পঙ্গুত্ব বরণ করতে বসেছে। তিন প্রতিবন্ধীর মা রুপালী খাতুন বলেন, জন্মের পর থেকেই তিন শিশু প্রতিবন্ধী। বিশেষ করে কোলের ছেলেকে নিয়ে চরম কষ্টে আছেন তারা। তাকে সময় সময় কোলেই রাখতে হয়। ঠিকমতো খেতেও পারে না। মাথা এতটাই ভারি যে নিজে নিজে মাথা নাড়াচাড়া ও উঠাতে পারে না। তাকে নিয়েই পরিবারের সবার সময় কেটে যায়। জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানীর সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সহায়তার জন্য এসেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে হাসান আল নুরানী বলেন, স্থানীয় এক চিকিৎসক বলেছেন তার মাথায় পানি জমেছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য নেই। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে ওই পরিবারকে দুই হাজার টাকা দেয়া হয়। আমরা আরো দেয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।