গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি — – মেহের আফরোজ চুমকি
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, প্রতি ১০০ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে ২০ জন গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যা পরে টাইপ টু ডায়াবেটিসে রূপান্তরিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। একমাত্র সচেতনতা ও পরিকল্পিত গর্ভধারণ নারীকে এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের মিলনায়তনে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোঃ সাইফুদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাপরিচালক ডাঃ নাজমুন নাহার, ডায়াবেটিক সমিতি ল্যাবরেটরি উন্নয়ন প্রকেল্পর পরিচালক ডাঃ শুভাগত চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মোঃ সাইফুদ্দিন বলেন, অনেক সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুরা পরিবার এবং সমাজে ডায়াবেটিস রোগী হওয়ার কারণে অবহেলার শিকার হয় কিন্তু সেটা উচিত নয়, কারণ শিশুরা ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী নয়।
নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করলে ডায়বেটিস থাকা সত্ত্বেও মানুষ সুস্থ থাকতে পারে। ডাঃ নাজমুন নাহার বলেন, গর্ভাবস্থায় যেসব নারীরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় পরে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী স্থায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ডাঃ শুভাগত চৌধুরী বলেন, যে সব রোগে মানুষ মারা যায় তার মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বর্তমান বিশ্বে ৯ম অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়া বর্তমানে একটি বড় সমস্যা এবং সমস্যার কারণ হলো অপরিকল্পিত গর্ভধারণ। গর্ভাবস্থায় নারী পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয় এবং এ কারণে শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এ জন্য এবারের বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সকল গর্ভধারণ হোক পরিকল্পিত’।