খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে — আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল নয়। মন্ত্রী আজ ঢাকায় সমকাল পত্রিকা অফিসে আয়োজিত ‘সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা : প্রাতিষ্ঠানিক নীতি কাঠামোর দাবি’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। হেকস/ইপার বাংলাদেশ, ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড এবং দৈনিক সমকাল এ বৈঠকের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, একটা কথা উঠেছে এটা ক্যামেরা ট্রায়াল। যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে, সেই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির কারণ স্পষ্ট করে বলা আছে।
তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে যেখানে কাউকে কোনো পাবলিক বা মিডিয়াকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তার আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি তার কোনো তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না। এমন যদি হয় তাহলে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়। আনিসুল হক বলেন, গত সাত মাস যাবত এই কোর্টটা বসছে। সাত মাসে মূল আসামি কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন না। নিরাপত্তাজনিত কারণে বা অন্য কোনো কারণে তিনি যখন হাজিরা দিচ্ছেন না তখন সেইটার সুবিধার্থে নিরাপত্তা আরো সুনিশ্চিত করার জন্য সেখানে কোর্ট বসানো হয়েছে। এতে কারো অধিকার খর্ব করা হয়নি।
বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে এবং সুষ্ঠু হবে। তারা যদি নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। ন্যায় বিচার তারা পাবে। দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফির সঞ্চলনায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল এবং সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও দলিত জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা আলোচনায় অংশ নেন।