প্রধান মেনু

কোরিয়ায় আসেম বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী : কাগজবিহীন বাণিজ্যে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দক্ষতার সাথে বিশ^বাণিজ্যে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অফ ক্রসবর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিক’-এ গত ২৯ আগস্ট প্রথম দেশ হিসেবে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ জন্য বাংলাদেশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২২ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপ মিটিং (আসেম)-এর সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টার্স মিটিং (ইএমএম)-এর দ্বিতীয় প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। তিনি ইউরো-এশিয়া কানেকটিভিটি, ই-কমার্স এবং ডিজিটাল বাণিজ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বাণিজ্য জটিলতা হ্রাস, জ্বালানির সহজ প্রাপ্তি, তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন এবং মানুষে মানুষে যাতায়াত সহজ করতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এশিয়া-ইউরোপের সদস্য দেশগুলো উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়বে এবং টেকসই উন্নয়ন ঘটবে। তিনি আরো বলেন, বিশ^ব্যাপী দ্রুত ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে প্রায় ৮০ ভাগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ২০ ভাগ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের অবকাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। সরকারি দপ্তরগুলোকে ই-গভর্নেন্সের আওতায় এনে কাগজবিহীন করা হচ্ছে।

কোরিয়ার শিল্প, বাণিজ্য এবং জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী Ungyu Paik এর সভাপতিত্বে প্লেনারি সেশন-২ এ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী Ka Chuan Ong.

উল্লেখ্য, এশিয়া এবং ইউরোপের দেশসমূহের মধ্যে সেতুবন্ধ স্থাপনের লক্ষ্যে এ দু’অঞ্চলের ২৬টি দেশের সমন্বয়ে ১৯৯৬ সালে এশিয়া ইউরোপ মিটিং (আসেম) নামক জোট গঠিত হয়। এ জোট এশিয়া এবং ইউরোপের দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ জোটের সদস্য সংখ্যা ৫৩। বাংলাদেশ ২০১২ সালে আসেম-এ যোগদান করে। বর্তমানে আসেমের দেশসমূহ বিশ^জিডিপি’র ৫৭ ভাগ, জনসংখ্যার ৬২ ভাগ এবং বিশ^বাণিজ্যের ৬৪ ভাগের প্রতিনিধিত্ব করে।