কৃষি উন্নয়নে গবেষণা অপরিহার্য —কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধান এবং অন্যতম উৎস হচ্ছে কৃষি। সরকার কৃষি উন্নয়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন হালনাগাদ করেছে। ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি রূপান্তর, কৃষি বহুমুখীকরণের, বাজারজাতকরণ এবং ভ্যালু অ্যাড ও ভ্যালু চেইন অপরিহার্য। এমতাবস্থায় জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যের উৎপাদন জরুরি।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) আয়োজিত ‘Agricultural Transformation in Bangladesh : Evidence on Biotechnology and Nutrition-Sensitive Agriculture’শীর্ষক পলিসি ওয়ার্কশপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার জিএমওসহ কৃষি রূপান্তর, হাইব্রিড জাত নিয়ে এসেছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না।
অন্যদিকে পুষ্টিকর খাদ্য বাজারে থেকে ক্রয়ের সামর্থ্য নেই, এ জন্য কৃষিজ পণ্যের বাজারজাত অপরিহার্য। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে উদ্ভাবিত বিটি বেগুন কৃষক ভোক্তা সবাই গ্রহণ করেছে উৎপাদন ভালো এবং বেশ লাভজনক। কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত নিয়ে বিরোধিতা করছে। আমাদের কৃষকরা এসব উন্নত জাতের সত্ত্ব হারাবে যে কথা বলা হচ্ছে তাও ঠিক নয়। এ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা খাদ্য চাহিদা মিটানো ও ভবিষ্যৎ খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে হবে।
নতুন জাত যেন পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর না হয় সেই দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল রোধে আরো কঠোর হওয়া উচিত বলে মন্ত্রী জানান। খাদ্যে ভেজাল রোধে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ভেজাল রোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ল্যাব ও বিভাগীয় শহরের একটি করে ল্যাব স্থাপন করা হবে যাতে করে দ্রুততার সাথে ভেজার শনাক্ত করা যায়। অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ আব্দুর রৌফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবুল কালাম আযাদ।