কৃষির উন্নয়নে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা -কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আজ সচিবালয় তার অফিসকক্ষে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও কান্ট্রি ম্যানেজার উৎ.ট.ঝ ঝরহম সাক্ষাৎ করেন। এসময় কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় প্রায় ৩০টি জাতের আলুর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
বিগত বছরে আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ মে:টন বেশি হয়েছে। লেইট ব্লাইট (খধঃব নষরমযঃ) রোগের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে আমরা প্রবেশ করতে পারছিনা । যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেক কৃষিজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিখাতের জন্য টাকার কোন সমস্যা নেই। আলু প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করাতে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ এখাতে বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ও সিআইপি সমন্বয় করে যৌথভাবে সমস্যার সমাধান করে এখাতের আরো উন্নয়ন করতে চায়। সিআইপি’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এবং কান্ট্রি ম্যানেজারের সাথে আবারো বৈঠকে বসে এখাতের উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চান মন্ত্রী। কৃষি সচিব বলেন,আমাদের বিজের চাহিদা ৬ লাখ মে:টন এর মধ্যে বিএডিসি টিস্যু উৎপাদন করে ১লাখ মে:টন। বাকি বিজ আমাদের দেশের কৃষকরা উৎপাদন করে।
যদিও আমাদের আলুর জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)তে ল্যাব রয়েছে। এছাড়াও বিএডিসি’র টিস্যু কালচার ল্যাবে বিজ উৎপন্ন করে থাকে। এছাড়া আমাদের দেশে কৃষক’রা লাভবান ফসল উৎপাদনে বরাবরই আগ্রহী যেমন হানি মেলন বিদেশি ছিল এখন যশোরের কিছু এলাকায় চাষ হচ্ছে। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হোসেন।