প্রধান মেনু

কৃষিই সভ্যতার নির্মাতা – কৃষিমন্ত্রী

কৃষি প্রাচীন মর্যাদাপূর্ণ পেশা ও সভ্যতার নির্মাতা। দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষিতে উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের দূরদর্শীতা ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে দেশ আজ খাদ্যে ও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প আজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন যা বাঙালি জাতির সক্ষমতার প্রমাণ। কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আজ ‘কৃষিবিদ দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী অ্যালামনাই সংবর্ধনা ও বর্তমান সরকারের ‘কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত ও সংহত করতে করণীয় নির্ধারণ’ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আধুনিক কৃষি বিষয়ক সেমিনার এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এবং সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরিটাস প্রফেসর কৃষিবিদ ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলী কুজ্জামান আহমদ ও বিডিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মোঃ ইয়াছিন আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিম উদ্দিন খান।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা প্রমুখ। উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি যুদ্ধের প্রধান আকাক্সক্ষা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কৃষি বিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যদা দিয়েছিলেন। জাতির পিতাকে দেওয়া কৃষিবিদদের ঐতিহাসিক এ সম্মানকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি জাকজমকপূর্ণ ভাবে কৃষিবিদগণ দিবসটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।