প্রধান মেনু

কুষ্টিয়ায় ২৮ মামলায় আসামী ১০৩১ গ্রেফতার ১৯২  জেলা বিএনপির প্রতিবাদ ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

মোঃ আকরাম হোসেন জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়াঃ অতি সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলার শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় গণহারে গ্রেফতার ও শত শত বিএনপি নেতা-কমী, সাধারণ মানুষের নামে যে মিথ্যা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেসব মামলা সম্পর্কে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি তালিকা পেশ করছে। জেলা বিএনপি সুত্রে বলা হয় বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকলে অবগত আছেন যে জেলায় বিএবপির শত শক নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্যকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছিল। হাজার হাজার নেতা-কর্মী, সাধারণ মনুষকেও এমনকি কৃষক, চায়ের দোকানদারও এই মামলা থেকে রেহাই পায়নি। কারো কারো বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা দেয়া হয়েছে। সেসব মামলাগুলো এখানো চলছে। এরপর হঠাত করে বিগত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়ার সকল পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ঝুটিকা অভিযান চালিয়ে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং হাজারেও বেশি নেতাকর্মী-সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাশকতা মামলা করে ঘরছাড়া করেছে।
এমনকি যারা বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন, ঢাকাতে বহুদিন চাকুরিরত আছেন এমনকি যারা অনেক আগে থেকে জেলে আছেন তাদের বিরুদ্ধেও নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ধরণের মিথ্যা মামলা দেয়ার ফলে কুষ্টিয়া শহর এবং গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় এবং পৌরসভায় যতগুলো মামলা দেয়া হয়েছে তার একটি তালিকা হেয়া হলো।খোকসা-কুমারখালীতে মামলা ৮টি, আসামী ৩৪৪ জন, গ্রেফতার ৬২ জন। কুষ্টিয়া সদর ও ইবি থানায় মামলা ১০টি, আসামী ৩২২ জন, আটক ৮৫ জন। দৌলতপুরে মামলা ৫টি, আসামী ২০০ জন, আটক ২৮ জন। মিরপুর-ভেড়ামারায় মামলা ৫টি, আসামী ১৬৫ জন, আটক ১৭ জন।এজাহারে বর্ণিত সকল মামলায় বলা হয়েছে কোন নির্দিষ্ট এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা জানতে পেরে তাদের গ্রেফতার করেছে এবং গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে অন্যান্য আসামীর নাম সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মামলগুলো মিথ্যা, বানোয়াট এবং হয়রানীমুলক। এধরণের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবী করেন। এধরণের মিথ্যা এবং হয়রানীমুলক মামলা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিরত থাকার আহবান জানান।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন গত ২দিন আগে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার ৩টি লক্ষ্যের কথা বলেছেন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুওেদ্ধ কঠোর অবস্থান নেবেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্টু এবং নিরপেক্ষ হয় তার ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সম্প্রতি সমগ্র কুষ্টিয়াতে অভিযান চালিয়ে ১শতও অধিক  বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষেকে গ্রেফতার এবং হাজারেরও অধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলার মধ্যে কয়জন চিহ্নিত অস্ত্রধারী, কয়জন মাদক ব্যবসায় আছে আমরা তা অবগত না । এটি স্পষ্ট যে কুষ্টিয়ার ক্ষমতাসীন দলের উর্দ্ধতন ও দ্বায়িত্বশীল নেতারা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করে ক্ষমতাসীন দল যে সকল অন্যায়, অত্যাচার, খুন, গুম করছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এর বিরুদ্ধে কোন গণতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করতে না পারে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে নেতা-কর্মীদের ঘর ছাড়া করে প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্র দখল করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চায়। এই সকল মিথ্যা মামলাগুলি তারই ইঙ্গিত বহন করে।