কর্মক্ষেত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিবে সরকার – শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন,কর্মক্ষেত্রে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার।এছাড়া শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে শিল্প মালিকগণকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সম্মেলনকক্ষে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কর্মক্ষেত্রে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আসছে সরকার। পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন বিষয়টি সেভাবে আলোচনায় আসেনি। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে পারলে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুপস্থিতির ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতি বছর প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। মুজিবুল হক শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, পঙ্গুত্ব এবং দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা প্রদানের বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এতদিন ১২ বছর বয়সের শিশুরা হালকা কাজ করতে পারলেও এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে কোন শিশুকে কেউ কাজে লাগাতে পারবে না। নারী শ্রমিকরা এর আগে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় চার মাস বেতন পেতেন না। চলমান বাংলাদেশ শ্রম আইনের সংশোধনীতে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির সাথে বেতন রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), ঢাকায় নেদারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিষয়ক এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রধান জেরন স্টিগ (ঔবৎড়বহ ঝঃববমযং), পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম নুরুন নবী এবং পিএসটিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নুর মোহাম্মদ বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পপুলেশন কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ওবায়দুর রব।