প্রধান মেনু

কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ^ নেতৃবৃন্দের প্রশংসা

লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭৮ ভাগ, এখন তা ১৫.৫ ভাগ, শিল্পে ২৮.১ ভাগ এবং সার্ভিস সেক্টরে ৫৬.৩ ভাগ। দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের কোন অভাব নেই। দেশের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশ এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছে। দেশের রপ্তানি ৩৪৮ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত বছর ছিল ৭.১১ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১,৪৬৬ মার্কিন ডলার।

তিনি গতকাল (৯ মার্চ) কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে লন্ডনের লনকাস্টার হাউজে অনুষ্ঠিত কমনওয়েল্থ বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে ‘টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন ক্রিয়েটিং অ্যান এক্সপোর্ট ইকোনমি’ বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। সম্মেলনে যোগদানকারী বাণিজ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। দেশ ইতোমধ্যে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত যুব শক্তি এখন আইটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে। এ খাতের রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি সফলভাবে অর্জন করবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস (ইবিএ)-এর আওতায় সম্পূর্ণ বাজার সুবিধা পেয়ে আসছে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে যাতে এ সুবিধা অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

সম্মেলনে ৬টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে-ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইজি অভ্ ডুয়িং বিজনেস, টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন, বিজনেস এন্ড সাসটেইনেবিলিটি, ক্রিয়েটিং এন এক্সপোর্ট ইকোনমি এবং অ্যাট্রাক্টিং ইনভেস্টমেন্ট। সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৩৭টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী যোগদান করেন।