এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত পদক্ষেপ অপরিহার্য – জাতিসংঘ স্থায়ী প্রতিনিধি
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৫ জুন বাংলাদেশ ‘টুওয়ার্ডস্্ দ্য সাসটেইন্যাবল ব্লুু ফিউচার: ফিসক্যাল ইনসেনটিভস টু অ্যাচিভ এসডিজি-১৪’ শীর্ষক একটি সাইড-ইভেন্টের আয়োজন করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট এর সচিব রিয়ার এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশিদ আলমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ ডেলিগেশন এই ওশান কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এসডিজি’র সময়-নির্দিষ্ট ও উচ্চভিলাষী লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকলের সহযোগিতামূলক ও সমন্বিত পদক্ষেপ অপরিহার্য। অন্যথায়, এসডিজির অর্জন ব্যহত হতে পারে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত আর্থিক প্রণোদনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
এসডিজি-১৪ বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, সরকার
৬৫ দিনব্যাপী সবধরনের মাছ এবং ভরা মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা বাধ্যতামূলক নিষিদ্ধ করেছে এবং এসময় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবিদের বিকল্প জীবিকা হিসেবে সরকারীভাবে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
আইআইইডি’র প্রতিনিধি ড. ইসসাম ইয়াসসিন মোহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে প্যানেলিস্ট ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশিদ আলম, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রশিদ সুমাইলা এবং ওইসিডি’র প্রতিনিধি ক্যাটিয়া কারোওসাকিস ও রজার মার্টিনি।
এসডিজি-১৪ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং টেকসই নীল ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কিভাবে অবদান রাখতে পারে এ বিষয়ে প্যানেল সদস্যরা মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। তারা মৎস্য ভর্তুকির বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও আলোচনা করেন।
মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব তার বক্তব্যে এজেন্ডা ২০৩০ এর উন্নয়নমূলক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিকসমূহের ভারসাম্য রক্ষার্থে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বনের গুরুত্ব এবং এই বন রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি আলোকপাত করেন।