এসএমই শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে – শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতে এসএমই শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে এখন গোটা পৃথিবীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখাতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে আসতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী আজ ২১তম আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেজ এর উদ্যোগে নয়াদিল্লীর ইন্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারে দু’দিন ব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ঝযৎর গ.ঠবহশধরধয ঘধরফঁ। এতে ভারতের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পবিষয়ক এরৎরৎধল ঝরহময, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ঝঁৎবংয চৎধনযঁ, মরিশাসের বাণিজ্য, শিল্প ও সমবায়মন্ত্রী ঝড়ড়সরষফঁঃয ইযড়ষধয বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে এসএমইখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতার প্রয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি গবেষণা জোরদার করতে হবে। এখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আইনি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, কর ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতামূলক নীতি ও অর্থায়নের সুযোগ অবারিত করতে হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্যমোচন এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি অভিমত দেন।
সম্মেলনের সাইড লাইনে আমির হোসেন আমু মরিশাসের বাণিজ্য, শিল্প ও সমবায়মন্ত্রী সোমিলদূত ভোলার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। এসময় তারা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, শিল্পখাতে যৌথ বিনিয়োগ, এসএমইখাতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা করেন। শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য মরিশাসের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এবিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।