এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উন্মুক্ত ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) : আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করবেন।
আজ সোমবার রাজধানী ঢাকার সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাই-সাইকেল, থ্রি-হুইলার চলবে না। আপাতত মোটরসাইকেলও বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, এর আগে আমরা একদিনে শত সেতু উদ্বোধন করেছি। এবার আমরা দেড়শ’ সেতু প্রস্তুত করছি। শিগগির উদ্বোধনের তারিখ জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশোধিত চুক্তি সই হয়। এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক
প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ অংশীদারত্বে নির্মাণ হচ্ছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের দক্ষিণ
কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, র্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা; যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দেবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে, যার মূল অংশের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং র্যাম্পসহ ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই অংশে মোট ১৫টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বনানী ও মহাখালীর বাকি দুটি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট।
প্রকল্পটি ঢাকা শহরের উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের সড়ক পথের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও প্রকল্পটি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত হলে ঢাকা ইপিজেড ও উত্তরবঙ্গের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ সহজতর হবে। এতে করে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিফিংকালে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ চৌধুরীসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।