প্রধান মেনু

একাত্তরের গণহত্যার প্রকৃত চিত্র খুঁজে বের করা জরুরি — সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির দায়মুক্তির জন্য একাত্তরের গণহত্যার প্রকৃত চিত্র খুঁজে বের করা জরুরি। সে জরিপ ও গবেষণা কাজটিই করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র। দেরিতে হলেওএটি অত্যন্ত শুভ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে একাত্তরের গণহত্যা, বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্রের প্রকৃত সংখ্যা বের হয়ে আসবে। আর এ কাজ সফল করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হাত সব সময় প্রসারিত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ’ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কে এম খালিদ বলেন, খুব শীঘ্রই খুলনায় গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এর নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হবে। গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এর ট্রাস্টি ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান।

সেমিনারে গণহত্যা-নির্যাতন বধ্যভূমি ও গণকবর সংক্রান্ত ১০টি জেলা জরিপ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গণহত্যা ‘নির্ঘন্ট সিরিজ’ বা ‘জেনোসাইড ইনডেক্স’ নামে প্রকাশিত উপর্যুক্ত ১০টি গ্রন্থ নিয়ে এ দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্প এবং গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর সংক্রান্ত জরিপে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। পরে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘The Bangladesh Monitor’ আয়োজিত ‘Dhaka Travel Mart-২০১৯’ পরিদর্শন করেন।