উল্লাপাড়া উপজেলার ভৈরব গ্রামে সরিষার মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাঁন মিয়া।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভৈরব গ্রামে সরিসার মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মোঃ চাঁন মিয়া (৬০) ও তার ৪ জন কর্মচারি।চাঁন মিয়া ১৯৯৩ সাল থেকে এপি ছেরেনা প্রজাতের মৌ মাছি দিয়ে মৌ চাষ করা শুরু করেন।এর পরে ১৯৯৭ সালে এপিছ মেলিফেরা জাতের মাছি দিয়ে সরিসার মধু সংগ্রহ করে যাচ্ছেন।মধু সংগ্রহ করতে ১০০ টা বাক্স রয়েছে তার।এক একটা বাক্সে ৮-১০ টা চাইক রয়েছে।বাক্সের মধু বের করতে সময় লাগে ৮ দিন।আর এই ৮ দিন পরেই বাক্সের মধ্যে থেকে প্রায় ৩ কেজি করে মধু বের করা হয়।চাঁন মিয়া বলেন,বর্তমানে ১ কেজি মধু ১৫০ টাকা করে বিক্রি করছি।
এতে হিসাব করে দেখা যায় ৮ দিন পরে সে ৪৫ হাজার টাকা মধু বিক্রয় করছে।মধু সংগ্রহের সময় এক কর্মচারী বলেন,আমরা ১০০% বিশুদ্ধ করে মধু সংগ্রহ করি।আমাদের মধুতে কোন ভ্যাজাল নেই। আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে সরিসা চাষ করা জমিতে ১৫ – ২০ দিন অবস্থান করেন তারা।মৌ চাষ পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ায় বর্তমানে অনেক সুখে আছেন বলে জানালেন চাঁন মিয়া।চাঁন মিয়ার কাছ থেকে মৌ চাষ শিখে অনেকেই এখন মৌ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।বাংলাদেশে মোট ৪ প্রজাতির মৌমাছি পাওয়া যায়। ১.এপিছ ছেরেনা ২.এপিছমেলিফেরা ৩.এপিছ ডটছেটা ৪.এপিছ ফ্লোরিয়া।